এনবিআরের লক্ষ্য ৫৮ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশঃ এপ্রিল ১১, ২০১৫ সময়ঃ ৮:১৯ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১০:০৫ অপরাহ্ণ

ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডটকম:

index চলতি অর্থবছরের নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) সংস্থাটি লক্ষ্যমাত্রার ৬১ শতাংশ রাজস্ব আহরণ করতে পেরেছে। ফলে বাকি তিন মাসের মধ্যে লক্ষ্য পূরণে অবশিষ্ট প্রায় ৫৮ হাজার কোটি টাকা আহরণের চ্যালেঞ্জের মুখে আছে এনবিআর।

২০১৪-১৫ অর্থবছরে এনবিআরের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য ১ লাখ ৪৯ হাজার ৭২০ কোটি টাকা। প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, গত মার্চ পর্যন্ত সংস্থাটি আহরণ করেছে ৯১ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকা, যা মোট লক্ষ্যের প্রায় ৬১ শতাংশ। লক্ষ্য পূরণে অর্থবছরের বাকি তিন মাসের মধ্যে আহরণ করতে হবে ৫৭ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা, যা অনেকটা দুরূহ বলে মনে করেন এনবিআরের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা। তবে লক্ষ্যমাত্রা কমানোর কোনো পরিকল্পনা আপাতত সংস্থাটির নেই। যে কোনো উপায়ে তা অর্জনের চেষ্টা চলছে।

গত ফেব্রুয়ারি শেষে রাজস্ব আহরণের পরিমাণ ছিল ৮০ হাজার ৪৪ কোটি টাকা। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, মার্চ শেষে তা দাঁড়িয়েছে ৯১ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকা। সে হিসাবে মার্চে রাজস্ব এসেছে ১১ হাজার ৮১৩ কোটি টাকা। আর জানুয়ারি শেষে আহরণ হয়েছিল ৬৯ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে ফেব্রুয়ারিতে রাজস্ব আসে ১০ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা। রাজস্বের এ ধারা অব্যাহত থাকলে বাকি তিন মাসে লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব নয়। যদিও শেষ প্রান্তিকে রাজস্ব আহরণ কিছুটা বাড়ে।

এদিকে অর্থবছরের বাকি সময়ের মধ্যে অবশিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব নয় বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেক কর্মকর্তা। তাদের ধারণা, চলতি অর্থবছর ১০ হাজার কোটি টাকার উপরে রাজস্ব ঘাটতি থাকতে পারে।

তবে এমন শঙ্কার বিষয়ে একমত নন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান। লক্ষ্যমাত্রা পূরণের বিষয়ে অনেকটাই আশাবাদী তিনি। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের আদায় হার অনেক ভালো। রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমাদের কর্মকর্তারা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন। আমরা আশা করছি, অর্থবছরের শেষ নাগাদ স্বাভাবিকভাবেই রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে।’

এ বিষয়ে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবদুল মজিদ বলেন, এনবিআর লক্ষ্য পূরণের প্রত্যাশা করছে, এটা ভালো দিক। কিন্তু এখন লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে প্রকৃত রাজস্বের যে ব্যবধান রয়েছে, অর্থবছরের বাকি সময়ে তা পূরণ করা খুবই দুরূহ। তবে সাধারণভাবে অর্থবছরের (এপ্রিল-জুন) শেষ প্রান্তিকে রাজস্ব আহরণ বাড়ে। এক্ষেত্রে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা (এডিআর) কার্যকর করাসহ মনিটরিং ও মাঠপর্যায়ের কর্মতত্পরতা বাড়াতে হবে। সবকিছুই নির্ভর করবে এনবিআরের দক্ষতার ওপর।

প্রতিক্ষণ/এডি/পাভেল

 

 

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G